আরএমপি নিউজ: রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার পৃথক অভিযানে চোরাই জানালার গ্রিল ও রড উদ্ধারসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ।
জানালার গ্রিল চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত আসামি শরিফুল ইসলাম (২৪), মো: ইয়ামিন (২৩) ও মো: আশিক (২০)। শরিফুল রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার কয়েরদারা মালদা কলোনীর মো: জনি মিয়ার ছেলে, ইয়ামিন একই থানার কয়েরদাড়া লেকেরধার এলাকার মো: আলমের ছেলে এবং আশিক কয়েরদারা লেকসিটি এলাকার মৃত টুলুর ছেলে। রড চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো: এমরান হোসেন ইমরান (২৫) রাজশাহী জেলার তানোর থানার গোল্লাপাড়ার মো: ফজর আলীর ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার টিটিসির এক নিরাপত্তা কর্মী গত ০৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বিকাল সাড়ে ৬ টায় দেখতে পান টিটিসির কোয়ার্টার থেকে কয়েকজন চোর লোহার তৈরি বেলকুনি ও জানালার গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।তখন সে চোর বলে চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনে টিটিসির শিক্ষার্থীরা চোর শরিফুলকে চোরাই বেলকুনি ও জানালার গ্রিনসহ আটক করে।অন্য আসামিপালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শাহমখদুম থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চোর শরিফুলকে তাদের হেফাজতে নেয় এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত চুরির মামলা রুজু করে।
শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমা মুস্তারীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই সুভাষ চন্দ্র বর্মণ ও তার টিম পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখেন। গ্রেপ্তারকৃত শরিফুরকে জিজ্ঞাসাবাদে থানা পুলিশ পলাতক আসামি ইয়ামিন ও আশিকের জড়িত থাকার কথা জানতে পারেন। পরবর্তীতে গত ১০ আগস্ট ২০২৫ (দিবাগত) রাত সোয়া ৩ টায় শাহমখদুম থানা পুলিশের ঐ টিম বোয়ালিয়া থানার কয়েরদাড়া লেকের ধার থেকে আসামি ইয়ামিনকে তার বাড়িতে হতে গ্রেপ্তার করে এবং ইয়ামিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঐদিন ভোর সোয়া ৪ টায় আশিককে কয়েরদারা লেকসিটি তার নিজ বাড়ি থেকে আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে এসআই মো: আব্দুল জলিল ও তার টিম গতকাল ১১ আগস্ট ২০২৫ সকাল সোয়া ৯ টায় থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ডিউটি করাকালে জানতে পারেন শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়ার এক নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে রড চুরির সময় জনতা চোরাই রডসহ এক চোরকে আটক করে রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশ রড চোর এমরানকে আটক করে।
উল্লেখ্য গ্রিল চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ইয়ামিনের বিরুদ্ধে আরএমপি’র বিভিন্ন থানায় ৩টি মাদক মামলা রয়েছে এবং রড চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত আসামি এমরানের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানায় সর্বমোট ৮টি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।